আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2167

ছেলের মা হলেন বরিস জনসনের বাগদত্তা

:: ডেস্ক প্রতিদিন ::

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও তার বাগদত্তা ক্যারি সিমন্ডস ছেলে সন্তানের মুখ দেখেছেন। লন্ডনের একটি হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেন সিমন্ডস। মা ও শিশু দুইজনই পুরোপুরি সুস্থ বলে বুধবার জানিয়েছেন ডাউনিং স্টিটের মুখপাত্র।
সন্তানের জন্ম ভালভাবে হলেও গত কয়েক সপ্তাহ দুঃসহ অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে জনসন এবং সিমন্ডস দু’জনকেই। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মাসখানেক ধকল পোহাতে হয়েছে জনসনকে। অবশেষে সুস্থ হয়ে গত সোমবার জনসন কাজে ফিরেছেন। ওদিকে, সিমন্ডসেরও কোভিড-১৯ এর লক্ষণ ছিল। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন সময় কেটেছে তারও। তবে তিনি দ্রুতই সেরে ওঠেন।
জনসন গতবছর জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বান্ধবী ক্যারি সিমন্ডসকে নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটে থাকতে শুরু করেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এ সরকারি বাসভবনে তারাই প্রথম অবিবাহিত যুগল।
গতবছরের শেষদিকে সিমন্ডসের সঙ্গে বাগদানে আবদ্ধ হন জনসন। ব্রুয়ারিতে এ যুগল জানান, তারা প্রথম সন্তানের অপেক্ষায় আছেন। এরপরই বুধবার তারা ছেলে সন্তান জন্মের খবর জানালেন। ভালোয় ভালোয় সবকিছু হওয়ার জন্য ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) এর চিকিৎসকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন জনসন ও সিমন্ডস।
জনসনের বাবা হওয়ার খবরে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজনীতিবিদরা। জনসনের বাবা স্ট্যানলি জনসনও নাতি হওয়ার খবরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
ক্যারি সিমন্ডসের আগে জনসনের স্ত্রী ছিলেন মারিনা হুইলার। তাদের চার সন্তান ছিল বলে জানা যায়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তারা বিচ্ছিন্ন থাকতে শুরু করেন এবং এবছরের শুরুর দিকে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

অসহায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিলো টেকনাফ পৌর ছাত্রলীগ

:: আবু সায়েম, কক্সবাজার ::

দুই বিঘা জমির ধান নুয়ে পড়েছে মাটিতে। লকডাউনে মিলছে না শ্রমিক। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার কৃষক মোহাম্মদ বশরের চিন্তার শেষ নেই। ধান বাঁচলে চাল হবে, মানুষ বাঁচবে, বাঁচবে দেশ, সঙ্গে নিজেও। কিন্তু কীভাবে ধান কাটবেন, বাড়ি নেবেন, মাড়াই করবেন, কীভাবে অর্থের সংস্থান হবে?

এমন সব চিন্তায় যখন বশর অস্থির তখন এগিয়ে আসেন জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও টেকনাফ পৌরসভার ছাত্রলীগের সভাপতি সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহীন। কৃষক বশরের অবস্থার কথা জেনে বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকালে তার বাড়িতে ছুটে যান শাহীনসহ ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী। নেমে পড়েন টেকনাফ খাংকার পাড়ার ওই ধান ক্ষেতে। সোনালি ধান কেটে ঘরে তুলে দেন কৃষক বশরের।
স্থানীয়রা জানান, দেশে করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় কৃষিশ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। মাঠে ধান পাকলেও সেই ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগের একদল কর্মী।
কৃষক মোহাম্মদ বশর বলেন, ‘সবাই যদি এভাবে পাশে দাঁড়ায় তাহলে আমরা বড় রকম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবো।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ রাজনীতির পাশাপাশি মানুষের উপকারও করে। আমি খুবই আনন্দিত।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই কাজ আমরা করছি এবং এই ধারা অব্যাহত রাখব। যদি কারও সাহায্যের প্রয়োজন হয় আমাদের জানালে আমরা ওই কৃষকের পাশে দাঁড়াব। এছাড়া আমরাও সাধ্যমত খোঁজখবর রাখছি।’
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবদুল্লাহ মনির বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রেখে ওই কৃষকের দুই বিঘা জমির ধান ছাত্রলীগ কেটে মাথায় করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মাড়াইও করে দিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যেভাবে কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে, এতে প্রমানিত হয় ছাত্রলীগ মানব সেবাসহ দেশের উন্নয়ন কাজেও গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করে।
ধান কাটার সময় উপস্থিত ছিলেন ১নং ওয়ার্ডের জসীম উদ্দীন জনি, জসিম উদ্দিন জয়, মো. সাহেল, ৩নং ওয়ার্ডের আবদুল্লাহ আল নোমান, মো. রবিন, মুহাইমিনুল ইসলাম, মো. সায়েম, ৪ নং ওয়ার্ডের মো. রুবেল উদ্দিন, মজিবুর রহমান, ৫নং ওয়ার্ডের মো. শফিক, মো. ইদ্রিস, ৬নং ওয়ার্ডের মো. ওমর সাদেক, ৭নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আরকান শিহাব, ৯নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ফরহাদ শরীফ, আবদুল্লাহ আল সাফিসহ অনেকে।

রিজার্ভ ধসে সৌদি আরব

:: ডেস্ক প্রতিদিন ::
গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গত মার্চে এই রিজার্ভ কমে যাওয়ার গতি দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। তেল বিক্রির পরিমাণ কমে যাওয়ায় অর্থ বছরের প্রথম চার মাসেই দেশটির বাজেট ঘাটতি নয়শো কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল জাদান
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল রফতানিকারক দেশ সৌদি আরব। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বর্তমানে তেলের মূল্য ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। তেলের মূল্য কমে যাওয়ায় দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনার আকার ও গতি কমিয়ে আনতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের মুদ্রা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৈদেশিক সম্পদের মোট পরিমাণ মার্চ মাসে ৪৬ হাজার চারশো কোটি মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। এই সম্পদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে জমা রাখা সম্পদও রয়েছে। গত ১৯ বছরের মধ্যে এটাই সর্বনিম্ন সৌদি সম্পদ।
গত দুই দশকের মধ্যে এক মাসে সবচেয়ে বেশি প্রায় দুই হাজার সাতশো কোটি ডলারের সম্পদ কমেছে সৌদি আরবের। গত সপ্তাহে সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল জাদান বলেন, এই বছর রিজার্ভ থেকে সর্বোচ্চ তিন হাজার দুইশো কোটি ডলার তোলা হবে।
উল্লেখ্য সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৫২ জনের। মহামারির কারণে এবারে দেশটির বাজেট ঘাটতি পাঁচ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস খাতে বৈশ্বিক ক্রয়াদেশ পূরণে সক্ষম হবে : প্রধানমন্ত্রী

::নিজস্ব প্রতিবেদক::
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকলেও বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাতে (আরএমজি) বৈশ্বিক ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর দুইটার দিকে সুইডিস প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করলে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দুই নেতা প্রায় ১৫ মিনিট নানা বিষয়ে কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম দুই নেতার টেলিকথোপকথন সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বুধবার দুপুর দুইটার আশেপাশের সময়ে টেলিফোন করে শেখ হাসিনার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রায় ১৫ মিনিটের কথোপকথনে উভয় নেতা ব্যবসা-বাণিজ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত নিয়ে কথা বলেন।’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, আমরা সুইডেনসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের তৈরি পোশাক সংক্রান্ত ক্রয়াদেশ পূরণ করতে সক্ষম হবো। যদিও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বর্তমান অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।’
এ সময় সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন যে, তার দেশ তৈরি পোশাক সম্পর্কিত বাংলাদেশের কোনও ক্রয়াদেশই বাতিল করবে না। স্টিফেন লোফভেন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি অব্যাহত রাখবো।’ জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের মালিকরা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে তাদের কারখানা চালু করেছেন।’
প্রেস সচিব আরও জানান, দুই দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি উভয় নেতার আলোচনায় উঠে আসে। তারা করোনা মহামারি মোকাবিলায় দুই দেশের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

এবার শ্রমিকদের পাশে মেয়র তাপসের ত্রাণ নিয়ে দক্ষিণ মহানগর যুবলীগ জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মধু

:: জোছনা মেহেদী ::
টানা এক মাস ধরে সব শ্রেণির মানুষের পাশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আহাম্মদ উল্লাহ্ মধু। পহেলা এপ্রিল থেকে টানা দশদিন হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের পর তারা নিম্ন আয়ের ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যেও খাদ্য সহযোগিতা পৌঁছে দিতে শুরু করেন। আজ (২৯ এপ্রিল) যাত্রাবাড়ী ও কাজলার ৫০০ পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে মেয়র তাপনের পক্ষে ত্রাণ বিতরণ করেন মধু।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়র সব সময় সবার কথা চিন্তায় রাখছেন। তার নির্দেশে আমরা রাজধানীর দক্ষিণে সব শ্রেণির অসহায় মানুষের কাছে সহযোগিতা পৌঁছে দিচ্ছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’ এ সময় তিনি সবাইকে করোনাকালীন সংকট মোকাবেলায় সরকারের নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানান।
ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দ.যুবলীগ নেতা এমএকে আজাদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বর্তমান যুবলীগ দক্ষিণ মহানগরের নেতা ইসমাইল হোসেন তপু, হাজারীবাগ থানা যুবলীগের সাবেক নেতা আহসান উল্লাহ রাসেল, নজরুল ইসলাম বাবু, মাহফুজ প্রমুখ। এছাড়া এ সময় যাত্রাবাড়ী থানা যুবলীগের নেতাকর্মী ও সেচ্ছাসেবীরাও উপস্থিত ছিলেন।

রমজানের উপহার দিলেন কক্সবাজার পৌর আ.লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম উল্লাহ সেলিম

:: আবু সায়েম, কক্সবাজার ::
অসহায় হতদরিদ্র কর্মহীন ২৫০ পরিবারের মাঝে রমজানের উপহারসামগ্রী বিতরণ করলেন কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং উত্তর নুনিয়ারছড়া সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেলিম উল্লাহ সেলিম। আজ বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে উত্তর নুনিয়ারছড়ায় তার প্রতিষ্ঠিত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জহুরা আজিজ মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে নিজস্ব অর্থায়নে এই উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে পৌর আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের ন্যায় কক্সবাজার কেও লকডাউন করা হয়েছে। ফলে অনেক অসহায় হতদরিদ্র মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবেতর দিনযাপন করছেন। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ইতোমধ্যে বিভিন্নভাবে আমাদের উত্তর নুনিয়ারছড়া এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ আমি নিজস্ব অর্থায়নে আমার এলাকার প্রায় ২৫০ গরীব পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছি।ইনশাআল্লাহ আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘মহামারীর এ দুর্দিনে সমাজে যারা বিত্তবান তাদের সকলের উচিত অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহযোগিতা করা। মহান আল্লাহর কাছে এ পবিত্র রমজান মাসে বিনীতচিত্তে প্রার্থনা করি মহান আল্লাহ যেন আমাদের কে এ মহাবিপদ থেকে রক্ষা করেন।’

ওষুধ কিনতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন রশিদ

:: নিজস্ব প্রতিবেদক ::

ঢাকার গুলশানের নতুনবাজার এলাকায় এক ব্যক্তি ওষুধ কিনতে এসে ফার্মেসিতে গিয়ে সেখানেই মারা গেছেন। তার সঙ্গে থাকা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল এবং তার ওষুধই কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুর রশিদ (৪৫), তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। নতুন বাজার এলাকায় একটি কোম্পানিতে নিরাপত্তার কাজ করতেন তিনি।
ভাটারা থানার ওসি মো. মোক্তারুজ্জামান বলেন, ‘বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওষুধ কিনতে এসে ফার্মেসিতে মারা যান রশিদ।’ তিনি বলেন, ‘দোকানদার জানিয়েছেন ওষুধ কিনতে এসেই ফ্লোরে পড়ে মারা যান রশিদ। রশিদ হার্টের ওষুধ কিনতে এসেছিলেন, তিনি হার্টের চিকিৎসক দেখিয়েছেন, সে রকম প্রেসক্রিপশনও (ব্যবস্থাপত্র) তার সঙ্গে ছিল।’
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নতুনবাজার একশ ফিটের ‘বিগ-ফার্মায়’ রশিদের মৃত্যুর এই ঘটনাটি দ্রুত সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।তবে রশিদ কোভিড-১৯ আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা মোক্তারুজ্জামান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

লকডাউন শিথিলের আভাস দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

:: নিজস্ব প্রতিবেদক::
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এক মাস ধরে চলা অবরুদ্ধ অবস্থা এখন কিছুটা শিথিল করার পক্ষে মত জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে সীমিত আকারে শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়া যায়। তবে তা সঠিক নিয়মে ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক রেখে করতে হবে।
আজ বুধবার ঢাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় নির্মিত অস্থায়ী হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এই মত প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। করোনাভাইরাসের রোগী বেড়ে যাওয়ার মধ্যে বাংলাদেশে অন্যতম বড় শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা তাদের কনভেনশন সেন্টারকে অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছে। অবরুদ্ধ অবস্থা শিথিলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের উদাহরণ টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বহু দেশে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড তো লকডাউন তুলে নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করে দিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আমরাও সামনেই স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাব।’
ছোঁয়াচে কোভিড-১৯ রোগের কোনো ওষুধ কিংবা টিকা না থাকায় সংক্রমণ এড়ানোই একমাত্র পথ। সে কারণে জনসমাগম এড়াতে প্রায় সব দেশই লকডাউন ঘোষণা করে। তবে সংক্রমণের হার কমে আসার পর বিভিন্ন দেশ এখন বিধি-নিষেধ তুলে নিচ্ছে।
বাংলাদেশে গত ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়ে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয় সরকার। এক মাস পর গত রোববার থেকে কিছু তৈরি পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে, দোকান খোলার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা এখনই বেশি বাড়ছে। বুধবার সকাল থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬৪১ জনের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে, একদিনে এত রোগী আগে শনাক্ত হয়নি। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেন, দেশে এখন ২০ হাজারের মতো আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রাখা আছে। বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ২ হাজার, ডিএনসিসি মার্কেটে ১ হাজার ৩০০ এবং উত্তরার দিয়াবাড়িতে ১ হাজার ২০০ শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই এসব জায়গায়ও রোগী ভর্তি করা যাবে। ২০ হাজারের বেশি আইসোলেশন বেড প্রয়োজন হলে সে ব্যবস্থাও করা যাবে, বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান খান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

যুক্তরাজ্যই ভাসমান রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

::নিজস্ব প্রতিবেদক::
সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে ব্রিটিশ মন্ত্রীর অনুরোধের জবাবে যুক্তরাজ্যকে পাল্টা একই আহ্বান জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও কমনওয়েলথ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমেদের সঙ্গে ফোনালাপে সোমবার এ বিষয়ে কথা হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং সীমিত সম্পদ থাকা সত্বেও মানবিকতার পরিচয় দিয়ে ইতোমধ্যে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। ৫০০ রোহিঙ্গা সে তুলনায় অতি সামান্য। তারা এখন বাংলাদেশের সীমানায় নেই। মানবিক কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে অনুরোধ করা হলেও এ এলাকার অন্যান্য দেশকে তা বলা হয়নি। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভির জাহাজ এসেও তাদের উদ্ধার করে আশ্রয় দিতে পারে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের ‘অনীহা’ নিয়েও ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের। বিশ্বের অন্যান্য দেশের উচিত বাংলাদেশে অবস্থানরত ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে তাদের‌ দেশে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় দেওয়া। বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোর উচিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে এগিয়ে আসা।’
এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের ওপরও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ‘দায়িত্ব বর্তায়’ মন্তব্য করে মোমেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, ‘মিয়ানমারে এখনও মিলিটারি অপারেশন চলছে এবং রোহিঙ্গারা মারা যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও তারা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। অবশিষ্ট রোহিঙ্গারা আবারও বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে। তারপরও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারে বিনিয়োগ করছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এ বিষয়ে সোচ্চার নয়।’
পাঁচশর মত রোহিঙ্গাকে নিয়ে পাচারকারীরা সপ্তাহ দুয়েক আগে ট্রলারে করে মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হওয়ায় রোহিঙ্গাদের ট্রলার এখন সাগরে ভাসছে। রোহিঙ্গাদের নৌযান ভিড়তে দেবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে থাইল্যান্ড। যুক্তরাজ্যের মত হিউম্যান রাইটস ওয়াচও ওই ভাসমান রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে রাজি নয় সরকার। বরং করোনাভাইরাসের কারণে চলমান বৈশ্বিক সঙ্কটে বাংলাদেশের বহু লোক মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে চাকরি হারিয়ে খাবারের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে জানিয়ে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যসহ উন্নত বিশ্বের উচিত মানবিক কারণে তাদের চাকরিতে বহাল রাখার বিষয়ে সোচ্চার হওয়া।
যুক্তরাজ্যের ক্রেতারা যাতে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক কেনার আদেশ বাতিল না করেন, সে বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের পোশাক খাত সমস্যায় পড়ছে। যুক্তরাজ্য তাদের ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ফান্ড গঠন করে দিলে তারা ক্রয়াদেশ বহাল রাখতে পারবে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ ‘উপহার হিসেবে’ যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাবে বলে লর্ড আহমেদকে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। জবাবে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ দেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

:: আলোকিত ডেস্ক ::
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউ পর্যন্ত যাওয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুস্থ হয়ে সরকারি কাজে যোগ দিয়েছেন। সোমবার কাজে যোগ দিয়েই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এসময় করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ঝুঁকির কথা তুলে ধরে তিনি সতর্ক করে বলেন, এমনটি হলে শুধু যে আরেক দফা মৃত্যুর মিছিল শুরু তাই নয়, তা হবে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ও। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।
মার্চের শেষের দিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এক সপ্তাহের বেশি সময় বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়ার পর ৫ এপ্রিল (রবিবার) লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে ভর্তি হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পরিস্থিতির অবনতি হলে পরদিন সন্ধ্যায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। গত ৯ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। ১২ এপ্রিল (রবিবার) হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। হাসপাতাল ছাড়ার পর থেকে বাড়িতেই বিশ্রাম করছিলেন জনসন।
লকডাউন প্রত্যাহারের বিষয়ে জনসন বলেন, আমি আপনাদের ধৈর্য্য হারানোর বিষয়টি বুঝতে পারছি, আপনাদের মতো আমিও উৎকণ্ঠিত। আপনাদের তাড়াজুড়োর বিষয়টিও বুঝতে পারছি। সরকারও চাইছে দ্রুত। কিন্তু তবু আমাদের দ্বিতীয়বার ভাইরাসের সংক্রমণের কথা বিবেচনা করতে হবে। ভাইরাস যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় এবং পুনরুৎপাদন একের বেশিতে চলে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এমনটি হলে শুধু মৃত্যুর মিছিল ও রোগ আসবে তা নয়, তা হবে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ও। এটি সর্বোচ্চ ঝুঁকির সময়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, কখন ও কীভাবে লকডাউন শিথিল করা হবে তা সম্পর্কে সরকার খুব সহজে কিছু বলতে পারছে না। তবে যুক্তরাজ্য ভাইরাস সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্যায় অতিক্রম করছে এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা কমছে। লকডাউনে অর্থনীতি দুর্বল হওয়ার আশঙ্কায় থাকা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে জনসন বলেন, আমরা খুব সহজে বলতে পারছি না কত দ্রুত বা কত ধীর গতিতে এই পরিবর্তন আসবে।
জনসনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব জানান, আগামী কিছুদিনের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধিনিষেধ জারি থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, সোমবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৭৯৫ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৮০ জন।