আজ বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 22

একই পাত্রের সঙ্গে দু’বার গাঁটছড়া বেঁধেছি: বিনীতা

বিনোদন ডেস্ক:

ভারতের বৃন্দাবনে কণ্ঠীবদল করে বিয়ের খবরে নেটিজেনদের মাঝে আলোচনায়  আসেনে জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী বিনীতা চ্যাটার্জি। তিনি ‘মেম বউ’ নামেই দর্শকদের মাঝে পরিচিত। তবে এই খবরের পরপরই রটে যায়, এটি নাকি তার তৃতীয় বিয়ে। ফলে তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাগাতার কটাক্ষের শিকার হতে হয়।

এবার এই ধোঁয়াশা দূর করতে বিনীতা জানিয়েছেন, ‘আলাদা ব্যক্তির সঙ্গে নয়, একই পাত্রের সঙ্গে দু’বার গাঁটছড়া বেঁধেছি।’ তৃতীয় বিয়ের গুজব প্রসঙ্গে বিনীতা বলেন, ‘চলতি বছরের নভেম্বর মাসে বিড়লা মন্দিরে সামাজিক বিয়ের আয়োজন করা হবে। নারায়ণের ইচ্ছেতেই আমরা এক হয়েছি।’

ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি জানান, প্রথমবার তিনি কেদারনাথ ট্রিপে গিয়ে গৌরীকুণ্ডের নীচে সোনপ্রয়াগের একটি মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন। পাত্র ছিলেন বদ্রীনাথ বিশাল।

বিশাল প্রথম থেকেই তাকে পছন্দ করতেন কিন্তু বিনীতা প্রথমে সাড়া দেননি। প্রায় এক বছর বিশালকে ভালো করে দেখার পর তারা সহকর্মীদের নিয়ে একসঙ্গে কেদারনাথে অফিস ট্রিপে যান।

গত ২০১৬ সালে স্টার জলসায় ‘মেম বউ’ চরিত্রে অভিনয় করে বিনীতা টেলিদর্শকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। দীর্ঘ নয় বছর পর বৃন্দাবনে তার এই বিবাহ কাণ্ডে তিনি আবারও নতুন করে লাইমলাইটে এসেছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/০৩জুন ২০২৫/মওম

সরকার ব্যবস্থা না করলে ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ার ঘোষণা ইশরাকের

আলোকিত ডেস্ক: সরকারের পক্ষ থেকে তার শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা না করলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ভোটারদেরকে সাথে নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে মেয়রের চেয়ার দখল করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। এসময় আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথের দাবিতে চলমান আন্দোলন আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে তার শপথের ব্যবস্থা না করলে ফের আন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই নেতা।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর ৩টার দিকে নগর ভবনে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এমন ঘোষণা দেন ইশরাক হোসেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, এই নগর ভবন বিগত তিন সপ্তাহ আমাদেরই নিয়ন্ত্রণে ছিল, আমরাই নিয়ন্ত্রণ রেখেছি, আমরাই দখলে রেখেছি। এই শপথ যদি না পড়ায়– আমি নিজেই গিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসতে পারি, ২ মিনিটও লাগবে না আমার।

তিনি বলেন, ঢাকাবাসী আমাকে বারবার অনুরোধ করেছেন, কেন আমি ঢাকাবাসীকে সাথে নিয়ে।

তিনি বলেন, আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে জনগণের ভোগান্তি বিবেচনায় নিয়ে—নগর ভবন অবরোধ ও ঘেরাও এর যে কর্মসূচি সেটাকে কিছুটা শিথিল এবং কিছুটা বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ছুটির পরে শপথের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নিলে ঢাকাবাসীকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।

ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে ১৪ মে থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়। ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে সংগঠিত হয়ে আন্দোলনে নামেন সিটি করপোরেশনের কর্মচারী, ইশরাকের সমর্থকসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মাঝে ৪৮ ঘণ্টার বিরতির পর আবার কর্মসূচি চলছে।

টানা তিন সপ্তাহ ধরে আন্দোলনে নগর ভবনের সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন তারা। এদিকে ইশরাক–সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে করপোরেশনের কর্মকর্তারাও অঘোষিত ছুটিতে আছেন। ফটকগুলো তালাবদ্ধ থাকায় কর্মকর্তারা অফিসে আসছেন না। দাপ্তরিক কাজ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। শুধু পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কাজ চলছে।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

গোবিন্দগঞ্জে কোরবানির জন্য ৩৬ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত

রানা ইস্কান্দার রহমান:
আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানি উপলক্ষে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৩৫ হাজার ৫৮৪টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ২৪ হাজার ৮০০টি পশু।
৩ জুন মঙ্গলবার সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লিখিত কোরবানিযোগ্য গরু-মহিষ-ছাগল এবং ভেড়া বিক্রির জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৬টি হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি স্থায়ী ও ৬টি অস্থায়ী হাট রয়েছে। সম্প্রতি নাকাই, মহিমাগঞ্জ, ফাঁসিতলা, কামদিয়া, বাগদা সহ আরও বিভিন্ন হাটে দেখা যায়, কোরবানি পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এসব হাটে কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ, মহিষ, গাভি, ছাগল ও ভেড়া ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে। আর ঈদের আগে শেষ হাটে বিক্রি জমে উঠবে বলে হাট ইজারাদার সূত্রে জানা গেছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর কোরবানি উপলক্ষে উপজেলার ২ হাজার ৬৭০ খামারে ৭ হাজার ৪৩২ ষাঁড়, বলদ ৫৫১, গাভি ৪ হাজার ৫৩, মহিষ ৬১, ছাগল ২১ হাজার ৯১২ ও ভেড়া ১ হাজার ৫৭৫ টি মজুদ আছে।
পশুর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও প্রত্যেকটি পশুরহাটে দালাল ও ফড়িয়া মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে তারা ঠকাবার শঙ্কায় ভুগছেন। হাটে আসা দালালরা মালিকদের সঙ্গে রফাদফা করে পশু হাতে নেন। ওই দামের চেয়ে বেশি বিক্রিত টাকা দালালদের পকেটে ঢুকছে বলে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন।
কামারদহ ইউনিয়নের ব্যাপারিপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম খামারি বলেন, আসন্ন ঈদে আমার খামারে কোরবানিযোগ্য ৯টি গরু রয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ বেড়েছে। তবে এবার হাটে দাম ভালো থাকলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুস সামাদ জানান, এ উপজেলায় কোরবানির চাহিদা মিটিয়েও অতিরিক্ত ১০ হাজার ৭৮৪টি কুরবানি পশু মজুদ আছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব পশু কোরবানির চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিক রাখবে।
তিনি আরও জানান, উপজেলার হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিশেষ মেডিকেল দল রয়েছে। কোরবানির পশু বিক্রেতাদের সহায়তা করতে হাটের পাশাপাশি অনলাইনে পশু বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন/০৩জুন ২০২৫/মওম

গাজীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৪

কামাল হোসেন, গাজীপুর সদর প্রতিনিধিঃ গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২ জুন) বিকালে গাজীপুর সেনা ক্যাম্পের নেতৃত্বে এবং জয়দেবপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ভবানীপুর বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— স্থানীয় আলাউদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন (৩৪), তার স্ত্রীর ফাতেমা (২৪), তার বোন হোসনা (৩৮) এবং ময়মনসিংহ জেলার কতোয়ালী থানার ভাটিগাংরা গ্রামের আরিফ হোসেন (২৬)।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মনির হোসেনসহ তার স্ত্রী, বোন ও সহযোগীকে আটক করা হয়। মনিরের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। অভিযানে মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়া রয়েছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, মনির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ভবানীপুর এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। তার প্রভাব ও দাপটে এলাকাবাসী আতঙ্কে ছিলেন।
স্থানীয়রা জান, “মনির ও তার সহযোগীদের কারণে এলাকায় ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আমরা সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকতাম। অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্যোগে আমরা কিছুটা স্বস্তি পেলাম।
যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাদক ও অপরাধ দমনে এমন অভিযান চলমান থাকবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

নবীনগরে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

মোঃ আনোয়ার হোসেন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে অস্থায়ী বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া চলমান থাকলেও উপজেলার বিভিন্ন হাটে ভিড় করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। মুসলমানদের অন্যতম বড় এই ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে সারা দেশের মতো নবীনগরেও কোরবানির পশুর হাট গুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়। সরজমিনে দেখা যায়- শিবপুর, নবীনগর সরকারি হাই স্কুল মাঠ, ইব্রাহিমপুর এতিমখানা, বাইশমোজা প্রভৃতি  পশুর হাট গুলোতে ক্রেতা- বিক্রেতার সমাগম চোখে পড়ার মতো। পশু বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। বিশেষ করে দেশি জাতের মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। অনেকেই এখনই কোরবানির পশু কিনে রাখার চেষ্টা করছেন। কারণ শেষ মুহূর্তে দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।  তবে এবার পশুর দাম তুলনামূলক ভাবে সহনশীল। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়- নবীনগরে এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১৫ হাজার ১৭৬টি পশু। তবে নবীনগরে  চাহিদা রয়েছে ১৪ হাজার ৫৬৫টি পশুর। ফলে এবার চাহিদার তুলনায় ৬১১টি পশু বেশি রয়েছে। খামারিরা এসব পশু পরিচর্যা করে বিক্রির জন্য তৈরি করেছেন। স্থানীয় খামারিরা জানান-“এবার ভারতীয় গরু না আসায় তারা স্বস্তিতে আছেন। তবে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, শ্রমিক মজুরি বেড়ে যাওয়া ও অন্যান্য খরচ বৃদ্ধির কারণে গরুর দাম কিছুটা বেশি”। তারা জানিয়েছেন-“পশু গুলোকে প্রাকৃতিক ভাবে বড় করতে নিজেদের জমিতে উৎপাদিত ঘাস, বিচালি, খৈল, ভুসি এবং ভুট্টা খাওয়ানো হয়েছে। কোন কৃত্রিম কেমিক্যাল প্রয়োগ করা হয় নাই”। এক বিক্রেতা বলেন- “আবহাওয়ার সমস্যা আছে ঠিকই, কিন্ত বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। গতকাল সকাল থেকেই অনেক গরু বিক্রি হয়েছে। আশা করি  ঈদের আগের কয়েক দিন আরও ভালো বিক্রি হবে”।
নবীনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জহিরুল ইসলাম বলেন- “বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও নবীনগরের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। এখানকার স্থায়ী ও মৌসুমি খামারিদের পাশাপাশি অনেকেই বাড়িতে কোরবানির জন্য পশু পালন করেছেন। এবার চাহিদার তুলনায় পশু বেশি থাকায় কোনো ঘাটতির আশঙ্কা নেই”।
আলোকিত প্রতিদিন/০৩জুন ২০২৫/মওম

টাঙ্গাইলে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

সাইফুল ইসলাম সবুজ:
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জর্ডান প্রবাসির মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনায় মূল হোতাসহ পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (২ জুন) সাভার এবং মিরপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া চারটি মোবাইল, নগদ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, বারিশালের ইউসুব জমাদ্দারের ছেলে মোঃ আব্দুল হাকিম, মোঃ আমির হোসেনের ছেলে  সোহাগ, মোঃ আসাদ আলীর ছেলে রোমান, সুবহান সিকদারের ছেলে মিলন সিকদার এবং ইয়ার হোসেন বেপারীর ছেলে মোঃ আরিফ হোসেন।
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এর আগে গত ৩১ মে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী চরপাড়া বাইপাস এলাকায় জর্ডান প্রবাসি এক নারীর মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় মহাসড়কে থাকা টহলপুলিশ বিষয়টি টের পেয়ে এগিয়ে গেলে ডাকাতরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস রেখে পালিয়ে যায়।
এসময় ডাকাদদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের এক সদস্য গুলিবৃদ্ধ হন। এ ঘটনার পর ওই নারীর বড় বোন বাদি হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/০৩জুন ২০২৫/মওম

জি-৭ সম্মেলনে টানাপোড়েনের কারণে মোদীকে আমন্ত্রণ জানায়নি কানাডা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এখনো আমন্ত্রণ জানায়নি কানাডা। এ কারণে গত ছয় বছরের মধ্যে এবারই প্রথম নরেন্দ্র মোদীর এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

চলতি মাসের মাঝামাঝিতে কানাডার আলবার্টা প্রদেশে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। যদিও সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য এখনো পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ পাঠায়নি কানাডা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবারের জি-৭ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না। এর ফলে ২০১৮ সালের পর এই প্রথম তিনি এই ধরনের আয়োজনে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।

এনডিটিভি বলছে, কানাডার আলবার্টা প্রদেশে আগামী ১৫ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত জি-৭ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেখানে বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যু — যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পশ্চিম এশিয়ার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি — নিয়ে আলোচনা হবে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কানাডা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কোনও আমন্ত্রণ পাঠায়নি। তবে আমন্ত্রণ এলেও মোদি এই সফরে যেতেন না, কারণ ভারত-কানাডা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বর্তমানে এতটাই খারাপ অবস্থায় রয়েছে যে, এমন সফরের আগে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং পদক্ষেপের প্রয়োজন হতো।

মূলত ভারত এবং কানাডার সম্পর্ক চূড়ান্ত অবনতির দিকে মোড় নেয় ২০২৩ সালে। সেসময় কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেন, খালিস্তানপন্থি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নির জয় ভারতে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিল। ভারত ভেবেছিল, এতে করে উভয় দেশের সম্পর্ক হয়তো স্বাভাবিক পথে ফিরতে পারে।

কিন্তু নয়াদিল্লির মূল্যায়ন অনুযায়ী, কানাডার নতুন সরকার এখনো ভারতের মূল চিন্তার বিষয় — বিশেষ করে কানাডার মাটিতে খালিস্তানপন্থিদের কার্যক্রম — নিয়ে স্পষ্ট কোনও অবস্থান নেয়নি।

এছাড়া দুই দেশের মধ্যে এখনও কোনও উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগ পুরোমাত্রায় ফিরিয়ে আনা হয়নি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ভারত কানাডায় নিজের হাইকমিশনার ও পাঁচ কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে নেয় এবং পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে কানাডারও সমানসংখ্যক কূটনীতিক বহিষ্কার করা হয়।

ভারতের একজন কর্মকর্তার ভাষ্য, “(কানাডায়) প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের জন্য অনেক পরিশ্রম ও প্রস্তুতির দরকার হতো, যা এখনকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবস্থার আলোকে সম্ভব নয়।”

ভারতের আরও একজন কর্মকর্তা জানান, “নিরাপত্তার বিষয়টিও” বড় চিন্তার বিষয়। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই দেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে কিছু যোগাযোগ হয়েছে এবং উভয়পক্ষ নতুন হাইকমিশনার নিয়োগের বিষয়েও ভাবছে।

এনডিটিভি বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ ভারত-কানাডা সম্পর্কোন্নয়নের সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারত বারবার অভিযোগ করেছে, ট্রুডোর শাসনামলে কানাডা খালিস্তানপন্থিদের সেদেশে কার্যক্রম চালাতে “লাইসেন্স” দিয়েছে। এমনকি ট্রুডোর বিদায়ের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছিলেন, “আমরা আশা করি কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে গড়তে পারব। আর সেটা পারস্পরিক আস্থা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে।”

গত ২০২৩ সালে নরেন্দ্র মোদি হিরোশিমায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে গিয়েছিলেন। এর আগেও তিনি ইতালি, জার্মানি এবং অন্যান্য সম্মেলনেও উপস্থিত ছিলেন। গত বছর ইতালির সভায় তিনি আউটরিচ সেশনে অংশ নেন।

মূলত জি-৭-এর বর্তমান সভাপতি কানাডা। সংগঠনটিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কানাডা ও জাপান রয়েছে। এবার আয়োজক হিসেবে সম্মেলনের আয়োজন করছে কানাডা।

আলোকিত প্রতিদিন/০৩জুন ২০২৫/মওম

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ গুম-খুনে জড়িতদের বিচার চাইলেন সালাহউদ্দিন

আলোকিত ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে গুমের অভিযোগ দিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সেখানে হাসিনাসহ গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাইলেন তিনি।
৩ জুন মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ এই অভিযোগ দেন। অভিযোগ জমা দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুম, খুনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হবে।’ তবে এখনো এ ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা না যাওয়ায় ক্ষোভ জানান তিনি।

এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনে জড়িত সবার বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।

গুমের ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের সাজা এবং যারা পালিয়ে গেছেন তাদের কমিশনকে খুঁজে বের করার অনুরোধ জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হাসানসহ যারা গুমের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এই সরকারের দায়িত্ব সবাইকে আইনের আওতায় আনা। দেশ থেকে গুম-খুনের সংস্কৃতি চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে।’

নিজের গুম হওয়া প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি আগেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকে গুম কমিশনে এসেছি। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা আমাকে তুলে নিয়ে যায়। তার ৬১ দিনের মাথায় আরেকটি দেশে পাচার করে তারা। এ সময়ের মধ্যে আমাকে যে রুমে রেখেছিল, সেই রুমের বর্ণনাসহ নানা বিষয় আমি গুম কমিশনের কাছে আলোচনা করেছি।’

আলোকিত প্রতিদিন/০৩জুন ২০২৫/মওম

পশুর হাটকেন্দ্রীক চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: র‍্যাব

আলোকিত প্রতিবেদক:

এক হাটের পশু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে র‍্যাব। এছাড়া পশুর হাটকেন্দ্রীক চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৩ জুন মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গাবতলীতে পশুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) লে.কর্নেল মো. মাহবুব আলম।

লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দেশের সর্ববৃহৎ পশুর হাট গাবতলীসহ অন্যান্য পশুর হাটের নিরাপত্তা জোরদার এবং ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। র‍্যাব-৪ তার দায়িত্বপূর্ণ হাটে ওয়াচ টাওয়ার ও অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনসহ মিরপুর বেনারশী পল্লী এলাকা এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট গরুর হাটে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও হাটে আভিযানিক দল নিয়োগ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাতে জনসাধারণ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শিকার ছাড়াই নির্বিঘ্নে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে।

তিনি বলেন, পশু পরিবহনে যেকোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা এক হাটের পশু অন্য হাটে জোর করে নেওয়া বা মহাসড়কে পশুহাটসহ যেকোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে বা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঈদযাত্রা পদক্ষেপের বিষয়ে র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, ঘরমুখো মানুষ যেন ছিনতাই, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে না পড়ে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিশেষ করে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, বাইপাইল এলাকায় এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, পাটুরিয়া এবং আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় নিয়মিত টহল মোতায়েন রয়েছে। বাসের টিকিট সিন্ডিকেট, কালোবাজারি কিংবা বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মতো অপরাধ প্রতিরোধে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। ২ জুন সোমবারও গাবতলী বাস কাউন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।

ঈদকেন্দ্রীক বিপনি-বিতানে নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীসহ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সাদা পোশাকে র‍্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত চেকপোষ্ট পরিচালনা ও সার্বক্ষণিক টহল করা হচ্ছে।

জনাব মাহবুব আলম বলেন, পশু ক্রয় বিক্রয়কারী কর্তৃক জাল টাকা আদান-প্রদান বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ জাল টাকা শনাক্তকারী মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। যাতে কোনো অসাধু চক্র অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে। অজ্ঞান পার্টি এবং মলম পার্টি ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধী চক্রকে প্রতিহত করতে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গত ১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ১৭ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা, যেকোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নকারী তথ্য এবং গুজব প্রতিরোধ করতে র‍্যাব প্রস্তুত রয়েছে। ঈদুল আজহা উদযাপন ও পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। ঈদ পূর্ববর্তী ও ঈদ পরবর্তী র‍্যাব-৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও মহল্লায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা ও যে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অপরাধ প্রতিরোধেও বিশেষ টহল ব্যাবস্থা অব্যাহত থাকবে।

আলোকিত প্রতিদিন/০৩জুন ২০২৫/মওম

হাতিয়াতে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজের দুই দিন পর মেঘনার পাড়ে মিলল পুলিশ সদস্যের মরদেহ

প্রতিনিধি,নোয়াখালী:
নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির দুই দিন পর নিখোঁজ পুলিশ সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজার সংলগ্ন মেঘনার পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাইফুল লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন। পেশাগত দায়িত্বে গত তিন বছর ধরে নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন সাইফুল।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের দক্ষিণে চরের সঙ্গে মেঘনা নদীর পাড়ে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে ছবি উঠিয়ে পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা পরিচয় নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় সাইফুলের সহকর্মী ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা যায়, দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে ৪জন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজি সংস্থার লোকসহ  ৩৯জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যাত্রা পথে ভাসানচর থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, বিকেলে মরদেহটি ঢেউয়ের সঙ্গে কিনারায় ভেসে উঠে। সাইফুলের মরদেহ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ৩৯জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ৩৫জনকে জীবিত উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মোট তিনজন মারা যায়। এখনো তামিম নামে এক রোহিঙ্গা শিশু নিখোঁজ রয়েছে। কোস্টগার্ড বর্তমানে নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন/০২জুন ২০২৫/মওম