আজ রবিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 4

গত ১৭ বছরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে গেছে সাবেক সরকার: ড.মঈন খান

আলোকিত ডেস্ক:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বিগত সরকারের আমলে গ্রামে-গঞ্জে স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যায় না। এর দায় শিক্ষার্থীদের নয়। তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বিগত সরকার। তারা হয়তো চেয়েছিল জাতিকে মুর্খ করে রাখতে।

১৯ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দল আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।

‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শিক্ষা দর্শন ও কর্মসূচি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান।

ড.মঈন খান বলেন, জিয়াউর রহমানের শিক্ষা দর্শন ও কর্মসূচি নিয়ে পিএইচডি গবেষণা হতে পারে। তিনি যে শিক্ষানুরাগী ছিলেন, সেটি তার হিযবুল বাহারে মেধাবীদের নিয়ে যে সমুদ্র যাত্রায় গিয়েছিলেন, তা প্রমাণ করে।

তিনি বলেন, অনেকেই বলেন শহীদ জিয়াউর রহমান ক্যান্টনমেন্ট থেকে দল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি দেশের মানুষকে সুশিক্ষা দেওয়ার জন্য বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু যারা নিজেদেরকে জনগণের দল বলে মনে করেন, তারা কেনও জাতিকে পরিকল্পিতভাবে মুর্খ করে রাখতে চেয়েছিল।

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, আমেরিকা কিন্তু অস্ত্রের কারণে শক্তিশালী দেশ হয়নি। তারা মেধার ভিত্তিতে শক্তিশালী। যদি সারা বিশ্বের এক হাজার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা করা হয়, তাহলে সেখানে ৭০/৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ই আমেরিকার। শহীদ জিয়া উন্নয়ন এবং উৎপাদনের কথা বলতেন। তিনিই প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ নিয়ে চিন্তা করছিলেন। তিনি বাস্তবমুখী শিক্ষার কথা বলেছিলেন। তার অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। মাত্র সাড়ে তিন বছর তিনি দেশের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। জাতির জীবনে এমন কোনও খাত যেখানে তার অবদান নেই।

সেমিনারে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশ ও মানুষের জন্য যে অবদান তৈরি করার, সেটি জিয়াউর রহমান করেছেন। মানুষকে স্বনির্ভর করতে তার ছিল মহান পরিকল্পনা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন, কিন্তু কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেননি। তিনি বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের কথা শুনেছেন— যা গণতন্ত্রের নমুনা ও বৈশিষ্ট্য। তিনি শিক্ষাকে যে গুরুত্ব দিতেন, সেটি তার কার্যক্রমেই পরিষ্কার হয়েছে। গণমুখী শিক্ষা প্রবর্তন করেছিলেন। উৎপাদনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্যে তিনি নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার শিক্ষা-চিন্তা ছিল দূরদর্শী। কিন্তু শেখ হাসিনা ছিলেন তার ব্যতিক্রম। তিনি ছিলেন ফ্যাসিস্ট।

রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান অর্থনীতি, শিক্ষা, রাষ্ট্রনীতি থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রকে শৃঙ্খলার মধ্যে এনে একটি ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন। অথচ আজ তাকে নিয়ে নানা কথা বলা হচ্ছে। তবে বিশ্বে তাকে বলা হয় একজন সত্যিকারের রাষ্ট্রনায়ক। তার দক্ষ এবং গতিশীল কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে ফারাক্কা ইস্যু জাতিসংঘে পর্যন্ত গেছে। ফলে চীনও নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘ প্রতিবাদ করেছে। জিয়াউর রহমান নিজ দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন বাস্তববাদী ও ভবিষ্যতমুখী নেতা এবং জাতি পুনর্গঠনের সাহসী পথপ্রদর্শক। জাতির ক্রান্তিকালে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার কাঁধে নিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়া জাতিকে নতুন আত্মপরিচয় এবং আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান করেন। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার।

তিনি বলেন, একজন শিক্ষাবান্ধব প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিয়াউর রহমান শিক্ষাক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন। তিনি সরাসরি কোনও বিশদ শিক্ষাদর্শন রচনা করেননি। তবে তার শাসনামলে গ্রহণ করা শিক্ষানীতিমালা, তার বক্তব্য এবং তার শিক্ষাবিষয়ক কর্মসূচি ও শিক্ষাচিন্তা ও দর্শন স্পষ্ট হয়।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড.মোর্শেদ হাসান খান বলেন, গত ১৭ বছরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এমন ক্রান্তিকালে আমরা প্রত্যাশা করি, আগামীর বাংলাদেশ হবে শিক্ষানির্ভর। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছেন, সেখানে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/১৯জুন ২০২৫/মওম

দ্বিতীয় ধাপের চতুর্থ দিনে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংলাপ চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের দ্বিতীয় ধাপের চতুর্থ দিনের আলোচনা চলছে আজ ১৯ জুন বৃহস্পতিবার। সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ বৈঠক শুরু হয়। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি, এলডিপি, সিপিবি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নিচ্ছেন।

আজকের আলোচনায় মূলত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বুধবারের অসমাপ্ত আলোচনা এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়গুলো উঠে আসছে। এর আগের দিন, বুধবার, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল এবং জেলা সমন্বয় কাউন্সিল বিষয়ক আলোচনার সমাপ্তি হলেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা অসম্পূর্ণ থাকে।

বৈঠকের শুরুতে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘কিছু বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মতৈক্য হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এখনও অমীমাংসিত। এসব বিষয়ে হয়তো আগামী সপ্তাহে আবার বসতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’ তিনি বিগত দিনের ভুল-ভ্রান্তি সততার সঙ্গে মূল্যায়নের আহ্বান জানান।সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান,  ড. এ এইচএম হামিদুর রহমান আযাদ,এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক  রুহিন হোসেন প্রিন্স, আমার বাংলাদেশ পার্টি এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি,  জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ  সম্পাদক  শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব  ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক।

বৈঠক শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রথমে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। পরে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরাও গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে  ব্রিফ করবেন।

আলোকিত প্রতিদিন/১৯জুন ২০২৫/মওম

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত ৬৩৯ এবং আহত ১৩২০ জন: হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬৩৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক গোষ্ঠী হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস। সংস্থাটি জানিয়েছে, হামলায় আহত হয়েছেন এক হাজার ৩২০ জনের বেশি।

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে  ১৯ জুন বৃহস্পতিবার সপ্তম দিনের মতো হামলা পাল্টা-হামলা চলছে। মাহসা আমিনের মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানে ২০২২ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় হতাহতের বিস্তারিত পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা সংস্থাটি বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ২৬৩ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ১৫৪ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে শনাক্ত করা গেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ইরানের স্থানীয় প্রতিবেদনের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার তুলনা করে দেশটিতে গড়ে ওঠা সূত্রের একটি নেটওয়ার্কের তথ্য সংগ্রহ করে এটি তৈরি করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইরান নিয়মিতভাবে হতাহতের তথ্য প্রকাশ করেনি। যদিও তাদের প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২২৪ জন এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৭৭ জন।

সূত্র : আলজাজিরা

আলোকিত প্রতিদিন/১৯জুন ২০২৫/মওম

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর কমান্ড সেন্টার-গোয়েন্দা সদর দপ্তরে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর কমান্ড সেন্টার, গোয়েন্দা বিভাগের সদর দপ্তর এবং সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার একটি শিবিরে আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম ইরনা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর কমান্ড সেন্টার, গোয়েন্দা বিভাগের সদর দপ্তর এবং সামরিক গোয়োন্দা শাখার শিবির— এই তিন স্থাপনার অবস্থান ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বিয়ের শেভায়। ইরনা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে ইরানের সামরিক বাহিনী।

“এটা ছিল নিখুঁত এবং সরাসরি আঘাত। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রে এই তিন সামরিক স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”

“গোয়েন্দা বিভাগের সদরদপ্তরের কাছে সোরোকা নামের একটি হাসপাতাল আছে। সেখানে কোনো আঘাত করা হয়নি, তবে ক্ষেপণাস্ত্রের শব্দের শকওয়েভে হাসপাতালটির কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে”, বলা হয়েছে ইরনার প্রতিবেদনে।

ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করছে— অভিযোগ তুলে গত ১৩ জুন শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। এ অভিযানকে ‘অপারেশন দ্য রাইজিং লায়ন’ নাম দিয়েছে ইসরায়েল।এখনও চলছে ‘অপারেশন দ্য রাইজিং লায়ন’। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে এ পর্যন্ত দেশটিতে নিহত হয়েছে ৬ শতাধিক এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি।

এদিকে ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামের পাল্টা সেনা অভিযান শুরু করে ইরান। গত ৫ দিনে সে অভিযানে আহত এবং নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন, কিন্তু তাদের হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশ করছে না ইসরায়েল।

সূত্র : আলজাজিরা

আলোকিত প্রতিদিন/১৯জুন ২০২৫/মওম

ইউনূস-তারেক বৈঠক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃযাত্রা!

মতামত,

ড. এস.এম.শাহান শাহ শাহীন
বিশ্বব্যাপী ড. ইউনূসের যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে সব সময় পাশে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারেক রহমান।
সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সাথে বৈঠক নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনেক সংবাদ এবং লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনাও হচ্ছে। এমতাবস্থায় কিছু লেখার তাগিদ অনুভব করছি। 
৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই গণতন্ত্রকামী দলগুলো একটি জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবি জানিয়ে আসছিল। দুঃখজনকভাবে, অন্তর্বর্তী সরকার এই বিষয়ে বড় রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপিকে আস্থায় আনতে ব্যর্থ হওয়ায় এক অবিশ্বাস ও দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছিল। লন্ডনে দীর্ঘ ১০ মাস পর অনুষ্ঠিত এই বৈঠক সেই দূরত্বের বরফ গলাতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, যা নির্বাচনের অনিশ্চয়তা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রাজনীতিতে অনেকটা চমক হিসেবে আসা এই বৈঠক ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে সৃষ্ট টানাপোড়ন অনেকটাই কমিয়েছে। সরকার এবং বিএনপি উভয় পক্ষই বৈঠকটিকে ফলপ্রসূ বলে আখ্যায়িত করেছে। জানা গেছে, উভয় পক্ষ জাতীয় নির্বাচন, সংস্কার, বিচার এবং জুলাই সনদসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে একমত হয়েছে। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জনাব তারেক রহমান নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরে এসে আগামী বছর রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে একমত পোষণ করেছেন, যা দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে স্বস্তিদায়ক সুবাতাস এনেছে।

দুই-একটি দল নাখোশ হয়ে বলেছেন যে, প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ প্রেস ব্রিফিং করায় আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার বিষয়ে জনগণের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তারা আশা করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে এবং বিচার ও সংস্কারের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে। এই তালিকায় রয়েছে জামায়েতে ইসলামী এবং এনসিপি।

তারা বলেছেন, ‘লন্ডনের বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, বিচার ও সংস্কার তত গুরুত্ব পায়নি। নির্বাচন প্রশ্নে সরকার কেবল একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও দাবিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলে বারবার প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, খেলাফতে মজলিস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ১২-দলীয় জোটসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই এ বৈঠক নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে বিএনপিকে বৃহৎ জন-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল হিসেবে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে সুতরাং এই বৈঠক নিয়ে হতাশা প্রকাশ না করে গণতান্ত্রিক উত্তরনে অগ্রগতি ভাবতে হবে।

দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির শেষ অবস্থান ছিল নির্বাচন কোনোভাবেই ডিসেম্বরের পরে নেওয়া যাবে না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ ক্ষেত্রে দলের এক সমাবেশে (ঢাকা বিভাগীয় তারুন্যের সমাবেশ) এক ভার্চুয়াল বক্তৃতায়-অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেন। রাজনীতির আরেক শক্তি জামায়াতে ইসলামী রমজানের আগে অথবা এপ্রিল মাসেও নির্বাচন হতে পারে বলে মত দেয়। এনসিপি গণহত্যার বিচার ও সংস্কারের পর নির্বাচন হওয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়। নির্বাচন নিয়ে বিদ্যমান রাজনৈতিক পক্ষ গুলোর ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান এক জটিলতা তৈরী হয়েছিল। পবিত্র ঈদুল আজহার আগের দিন ৬ জুন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রফেসর ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন। বিএনপি এ ঘোষণায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে। দলটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। তবে জামায়াতে ইসলামী প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। এনসিপি নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান করার দাবি পুনরুল্লেখ করে। ফলে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন ঘিরে সৃষ্টি হয় এক অনিশ্চয়তা।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি রাজনীতির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করছে অভিজ্ঞ মহল। ড. ইউনুস ও তারেক রহমানের এ সংলাপ গণ অভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ এক মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে গণতন্ত্রকামী জনতার বিশ্বাস। প্রধান উপদেষ্টার ভাষনকে কেন্দ্র করে ধোঁয়াশা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এ প্রেক্ষাপটে অনেকটা আকস্মিকভাবেই লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ন অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের এক সপ্তাহের মধ্যে প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরের ঠিক আগমুহূর্তে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক এর খবরটি দেশে বিদেশে সবকিছু ছাপিয়ে চলে আসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণায় জানানো হয়, নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় এপ্রিল থেকে এগিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে নির্ধারণে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপি একমত হয়েছে। তবে বিচার ও সংস্কার বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি একটি পূর্বশর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকের প্রথমার্ধে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন করার প্রস্তাব দেন তারেক রহমান। এর জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতামূলক মতৈক্য তৈরী হয়।

দেড় ঘণ্টার এ আলাপকালে তারেক রহমান অধ্যাপক ইউনুসকে একটি কলম ও দুটি বই উপহার দেন যা ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তারেক রহমান বলেন, তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে একজন নতুন অভিভাবক পেয়েছেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে তিনি তাঁর মা খালেদা জিয়া এবং ড. ইউনুসের পরামর্শ নিয়ে পথ চলবেন বলে উল্লেখ করেন। বিশ্বব্যাপী ড. ইউনূসের যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে সব সময় পাশে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারেক রহমান। এ সময় ড. ইউনুস দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারেক রহমানের ভাবনা ও পরিকল্পনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বিএনপির শীর্ষ নেতত্বের চিন্তাভাবনা অত্যন্ত ইতিবাচক। প্রফেসর ইউনূস যদি পরবর্তী সম্ভাবনাময় বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকারকে সহযোগিতা করতে পারেন তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির শক্ত ভিত রচনা হবে। একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যদি আমেরিকা, ইউরোপ, চীন, জাপান, মালয়শিয়া তথা গুরুত্বপূর্ন দেশ গুলোর অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, কম বেশী সবার সাথে বানিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকে তবে বাংলাদেশ হতে পারে একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র। যা একটি রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বহুদুর।

বৈঠকে তারেক রহমান তাঁর মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সালাম পৌঁছে দেন ড. ইউনুসকে। সালামের জবাব দিয়ে প্রফেসর ইউনুস বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) অসাধারণ মানুষ। বৈঠকের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা থাকলেও পরবর্তীতে ড. ইউনূসে ও তারেক রহমান প্রায় এক ঘণ্টা ওয়ান টু ওয়ান একান্তে আলোচনা করেন। বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতি পড়ে শোনান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আলোচনায় উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেন।

গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, অতীতে যেসব ছোটখাটো কথাবার্তা হয়েছে, সেগুলোকে ভুলে গিয়ে যাতে সামনে জাতীয় ঐক্যকে আরও দৃঢ় করে ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে যেতে পারি এবং জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারি, সেদিকে নজর দিতে হবে। আমরা যেন ১৫ বছরের ফ্যাসিস্টদের করা কাঠামোকে নতুন করে একটা গণতান্ত্রিক কাঠামোতে রূপান্তর করতে পারি, তার ওপর গুরুত্ব দেন মির্জা ফখরুল।

পর্যবেক্ষক মহল ও গণতান্ত্রকামী নাগরিকগণ মনে করেন যেসব রাজনৈতিক দল ছাত্র-জনতার সঙ্গে সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটিয়েছে, তাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে ড. ইউনুস ও তারেক রহমানের এ সংলাপ রক্তস্নাত ছাত্র গণ অভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণে সফলকাম হবে। একটি অবাধ সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্যে দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পূনঃ প্রতিষ্ঠার ভিত রচিত হবে, বৈঠকটি ইতিহাসে স্থান করে নিবে।

লেখক: গবেষক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করবে বিএনপি: আমিনুল হক

ইমরান হোসেন : বিশেষ প্রতিনিধি।
প্রকাশ,১৮ জুন রোজ বুধবার ২০২৫ ইং
দলের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করবে বিএনপি” বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক।
আজ বুধবার দুপুরে তুরাগ থানা বিএনপির আয়োজনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উক্ত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান।
আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর যারা আন্দোলন সংগ্রাম করে দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে নিজেকে পরীক্ষিত করেছেন, আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করবো। আর যারা নতুন করে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছেন- তাদের বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “দলের সদস্য নবায়নের সময় খেয়াল রাখতে হবে—আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন কেউ যেন বিএনপির সদস্য হতে না পারে। পতিত আওয়ামী লীগ থেকে আসা কেউ যেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে দলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “দলে এখন এমন অনেকেই ঢুকতে চাইছে, যারা অতীতে দলের পাশে ছিল না। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে অনেকেই নিজেকে বড় বিএনপি বলে প্রমাণ করতে চাইছেন। কিন্তু আমরা জানি, গত ১৭ বছরে কারা রাস্তায় ছিল, কারা মামলা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদেরকেই আমরা মূল্যায়ন করবো।”
বিএনপি অন্যায় করে না, অন্যায়কারীকে প্রশ্রয়ও দেয় না’ মন্তব্য করে আমিনুল হক বলেন, বিএনপিতে চাঁদাবাজ ও দখলবাজের কোনো জায়গা নেই। বিএনপি অন্যায় ও অত্যাচার করে না। কোথাও বিএনপির বদনাম হয়, এমন কাজ করা যাবে না। বিএনপি ভালো মানুষের দল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কড়া নির্দেশনা রয়েছে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করুন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে হলে দলের আদর্শ ও ত্যাগের মূল্যবোধকে ধারণ করতে হবে। রাজনীতিতে স্থায়ী হতে হলে পরীক্ষিত হতে হবে।”
বিএনপি একটি সুন্দর, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর  উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেছেন,  আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছর ধরে দেশের মানুষকে যেভাবে জুলুম-নির্যাতন করেছে, বিএনপি ঠিক তার উল্টো পথে চলবে।
তুরাগ থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হারুন অর রশীদ খোকার সভাপতিত্বে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, হাজী মোঃ ইউসুফ, মোঃ শাহ আলম,
মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোতালেব হোসেন রতন, নূরুল হক ভূইয়া নূরু, শামীম পারভেজ, সালাম সরকার, হাফিজুর রহমান শুভ্র, এম এস আহমাদ আলী, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, ইব্রাহিম খলিল, তাসলিমা রিতা, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব এ্যাড. রুনা লায়লা রুনা প্রমুখ।
এরপর বিকেলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উত্তরা পশ্চিম থানার উদ্যোগে দলের সদস্য নবায়ন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আমিনুল হক। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন এতে সভাপতিত্ব করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

গোবিন্দগঞ্জে ভাসুরের কু-প্রস্তাবে ছোট ভাইয়ের বউ রাজি না হওয়ায় তার পরিবারের লোকজনকে মারপিট, আহত-৮

রানা ইস্কান্দার রহমান:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ভাসুরের কুপ্রস্তাবে ছোট ভাইয়ের বউ রাজি না হয়ে প্রতিবাদ করায় ছোট ভাইয়ের বউয়ের পরিবারের লোকজনকে মারপিট করে আহত ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত প্রায় ০৩ বছর পূর্বে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে রাবেয়া বেগমের সংঙ্গে একই থানার রাখালবুরুজ  ইউ.পি-র লোনতলা গ্রামের মৃত মোজাফ্ফর আলীর ছেলে নাজু মিয়ার বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে কর্মক্ষেত্রে সারাদিন ব্যাপী বাহিরে অবস্থান করে এবং রাতে বাড়ীতে ফেরে। সেই সুযোগে ছোট ভাইয়ের বউয়ের উপর বড় ভাসুর সাজু মিয়ার কুদৃষ্টি পড়ে।
গত প্রায় ০৬ মাস যাবৎ বড় ভাসুর সাজু বিভিন্ন সময় রাবেয়া’কে নানাভাবে ফুসলাইয়া, কুপ্রস্তাব দিয়া আসিতে থাকে। ইহাতে ছোট ভাই বউ রাজী না হইয়া বিষয়টি তাহার স্বামী নাজু মিয়াকে  অবগত করলেও স্বামী বড় ভাইয়ের কুপ্রস্তাবের বিষয়টি এড়িয়ে চলে। পরবর্তীতে গত ১৫ই জুন ২০২৫ তারিখে বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে বড় ভাসুর সাজু ছোট ভাইয়ের বউকে কুপ্রস্তাব দিয়া হাত ধরে টেনে নিয়ে ঘরে যেতে চাইলে ভাসুরের কু-প্রস্তাবে ছোট ভাইয়ের বউ রাজি না হয়ে তাৎক্ষনিক বোন রাজিয়া বেগম সহ দুলা ভাই সোনা মিয়াকে বিষয়টি জানালে বোন-দুলা ভাই বিষয়টি নিয়া কথা বলার জন্য বোন জামাই নাজু এবং সাজুর বাড়ীতে গেলে রাবেয়া, বোন রাজিয়া ও দুলা ভাইকে লাঠি-সোটা দ্বারা মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথারীভাবে মারপিট করিয়া ছেলা-ফোলা, বেদনাদায়ক জখম করে এবং তাহাদের বসত ঘরে আটক করিয়া রাখে। মোবাইল ফোনে ঘটনার সংবাদ পাইয়া ফুফাতো ভাই সোহেল রানা সহ তাহার পিতা কফিরুল, দাদী  কবিলা, চাচাতো ভাই রবিউল, আপেল ও ফুফাতো ভাই আসাদুল বেলা অনুমান ১১.৪০ ঘটিকায় বোন জামাই নাজু এবং বোনের ভাসুর সাজুর বাড়ীর ভিতরে উঠানে যাওয়া মাত্রই রানু মিয়ার হুকুমে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে মৃত মোজাফ্ফর আলীর ছেলে সাজু মিয়া (৩৫), রিফাত ইসলাম (১৯), নাজু মিয়া (২৩), লাল মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (৩৫), রানু মিয়ার ছেলে এনামুল হক (৪০), স্বামী মৃত মোজাফ্ফর আলীর স্ত্রী আলতা বেওয়া (৪৫), রানু মিয়া (৬৫),সহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জন পরস্পর যোগসাজসে হাতে লাঠি-সোটা, লোহার রড, ধারালো ছোরা, হাসুয়া, রাম দা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়া সজ্জিত হয়ে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করতঃ তাদেরকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করিতে থাকে। রানু মিয়ার হুকুমে, সাজু মিয়া তাহার হাতে থাকা ধারালো রাম দা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে কফিরুল ইসলাম মাথায় মধ্যভাগে স্বজোরে চোট মারিয়া হাড়কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে ফলে ০৭টি সেলাই লাগিয়াছে এবং দুলাল মিয়া তাহার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় স্বজোরে চোট মারিলে আত্মরক্ষার্থে বাম হাত দিয়া ঠেকাইলে উক্ত চোট বাম হাতের বৃদ্ধা ও তর্জনী আঙ্গুলের মধ্যভাগে লাগিয়া হাড়াকাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয় ০৩টি সেলাই লাগিয়াছে।
তখন দাদী কবিলা বেগম আগাইয়া গিয়া জখমীদের উদ্ধারের চেষ্টা করিলে এনামুল হক (৪০) দাদীর চুলের মুঠি ও পড়নের কাপড় ধরিয়া টানা হেচড়া করিয়া ছিড়িয়া বিবস্ত্র করতঃ শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং স্বজোরে তলপেটে লাথি-গুড়ি মারপিট করিলে মাটিতে লুটাইয়া পড়িয়া অজ্ঞান হইয়া যায়।
তখন সোহেল সহ চাচাতো ভাই আপেল, রবিউল ও ফুফাতো ভাই আসাদুল আগাইয়া গিয়া জখমীদের উদ্ধারের চেষ্টা করিলে রিফাত ইসলাম (১৯), নাজু মিয়া (২৩), এনামুল হক (৪০) সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জস তাহাদের হাতে থাকা লাঠি-সোটা, লোহার রড দ্বারা পূর্বের জখমীদেরকে সহ অন্যান্যদেরকে মাথা, বুকে, পাজরে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথারীভাবে আঘাত করিয়া ছেলা-ফোলা, কালোশিরা, রক্তাক্ত বেদনাদায়ক জখম করে জখমীদেরকে তাহাদের বাড়ীতে আটক করিয়া রাখিলে স্থানীয় লোকজন জখমীদের পরিবারের বাড়িতে খবর দিলে বাছের আলী (৪৫), কবিরুল ইসলাম (৪৪), খায়রুল ইসলাম (৩৬), সহ স্থানীয় ইউ.পি সদস্য রশিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়া জখমীদেরকে উদ্দার করিয়া অচেনা অটো ভ্যান যোগে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। জখমীরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে এবং জখমী  কফিরুল ও দাদী কবিলা বেগম এর আবস্থা গুরুতর আশংকা জনক হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলে জখমী কফিরুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা (২৩) বাদী হয়ে ১.  সাজু মিয়া (৩৫), ২.  মোঃ রিফাত ইসলাম (১৯), ৩. মোঃ নাজু মিয়া (২৩), সর্ব পিতা মৃত মোজাফ্ফর আলী, ৪. মোঃ দুলাল মিয়া (৩৫), পিতা মোঃ লাল মিয়া, ৫. মোঃ এনামুল হক (৪০), পিতা মোঃ রানু মিয়া, ৬. মোছাঃ আলতা বেওয়া (৪৫), স্বামী মৃত মোজাফ্ফর আলী, ৭.  মোঃ রানু মিয়া (৬৫), পিতা মৃত অজ্ঞাত, সর্ব সাং-লোনতলা (উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে), ইউ.পি- রাখালবুরুজ, থানাঃ গোবিন্দগঞ্জ, জেলাঃ গাইবান্ধা’গণ সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামী করে তাদের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৮জুন ২০২৫/মওম

রিনা খানের ছেলের নামে মামলা, বিএনপি অফিসে গেলেন অভিনেত্রী 

বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকাই সিনেমার খলচরিত্রে সুপরিচিত অভিনেত্রী রিনা খান। জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও চলচ্চিত্রে এখন আর দেখা মেলে না তার। অভিনেত্রীর দাবি, রাজনৈতিকভাবে তিনি বিএনপিকে পছন্দ করেন বলেই তার প্রতি এমন অবিচার করা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্বস্তিতে থাকলেও ছেলের নামে মিথ্যা মামলা নিয়ে অস্বস্তিতে আছেন তিনি। যে কারণে সম্প্রতি হাজির হয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।

রিনা জানান, তার বড় ছেলে জার্মানিতে থাকলেও তার বিরুদ্ধেও নাকি মামলা দেওয়া হয়েছিল, এমনকি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল।

অভিনেত্রীর দাবি, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণেই তাকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে।

১৭ জুন মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে রিনা খান বলেন, ‘আমি জিসাস (জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভানেত্রী। আমি বিএনপি করি বলেই আজকে আমার এই অবস্থা।’

বড় ছেলের প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার ছেলে বিদেশে, তার নামেও মামলা হছে। ছোট ছেলের পেছনেও পুলিশ লেগে ছিল। আমি ঘরে থাকতে পারতাম না, বিটিভি বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে ডাকত না।’

সেখানে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে থাকা মামলাটি তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘আমি অনেক কাজ রেখে সকাল থেকে এসেছি। আমাদের সালাহউদ্দিন সাহেব অনেক সহায়তা করেছেন। দলের লোকজনও পাশে থেকেছেন।’

রিনা খান বলেন, ২০০৯ সালে তার বড় ছেলে জার্মানিতে পাড়ি জমানোর পরই তার নামে ‘মিথ্যা’ মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে পরিবারের ওপর নেমে আসে নানা চাপ এবং হয়রানি।

তিনি জানান, ‘আমি একটি নির্যাতিত সন্তানের মা। আমি কোনো অনুষ্ঠানে যেতে পারতাম না। এই ফ্যাসিস্ট সরকার যাওয়ার পরে আমরা নতুন করে জীবন পেলাম।’

এই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত রিনা খান বলেন, ‘আজকে আমি খুব খুশি, খুশিতে কান্না চলে আসছে। আমরা চাই, ভবিষ্যতে কেউ আর জুলুম না করুক।’

রিনা খানের আসল নাম সেলিমা সুলতানা। ১৯৮২ সালে ‘সোহাগ মিলন’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হলেও তিনি খলচরিত্রে বেশি পরিচিতি পান। তবে ইতিবাচক চরিত্রেও তাকে পর্দায় দেখা গেছে। বর্তমানে তিনি জিসাস-এর কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/১৮জুন ২০২৫/মওম

ইরান আত্মসমর্পণ করবে না, ভুলের শাস্তি পাবে ইসরায়েল: খামেনি!

আলোকিত ডেস্ক, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত যখন চরমে, তখন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। জোর গলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, যতই আক্রমণ আসুক, ইরান আত্মসমর্পণ করবে না বলে তিনি জানান। ইসরায়েলকে তার ভুলের শাস্তি পেতে হবে বলেও মনে করিয়ে দেন তিনি।

ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত এক টেলিভিশন বার্তায় খামেনি বলেন, ‘ইরান চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে অটল থাকবে, একইভাবে চাপিয়ে দেওয়া শান্তির বিরুদ্ধেও অটল থাকবে। চাপিয়ে দেওয়ার মুখে এই জাতি কারো কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে খামেনি বলেন, ‘যারা ইরান এবং এর ইতিহাস জানেন, তারা জানেন যে ইরানিরা হুমকির ভাষায় ভালোভাবে সাড়া দেয় না। এবং আমেরিকানদের জানা উচিত যে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ নিঃসন্দেহে (তাদের) অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন করবে।

ট্রাম্প সম্প্রতি বেশ কয়েকবার হুমকি-ধামকি দিয়েছেন, ইরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে হবে। সেটা না করলে তেহরানকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

আখাউড়ায় মাদকসহ আটক-১

মোঃ নিশাদুল ইসলাম:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ১৬৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোস্তাকিম পাঠান (৪০) নামের এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের তুলাইশিমুল এলাকা থেকে মাদক মাদকসহ তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মোস্তাকিম পাঠান জেলার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঘাটিয়ারা গ্রামের আবুল কালাম পাঠানের ছেলে। এ ব্যাপারে আখাউড়া থানায় দায়িত্বরত (ওসি) তদন্ত মোঃ শাহিনূর ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মাদক আইনে মামলা রুজু করে বিচারিক কার্যক্রমের জন্য তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৮জুন ২০২৫/মওম