আজ সোমবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৩ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 538

আওয়ামী লীগের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী প্রার্থী বাছাই করছে ইসি : রিজভী

আলোকিত ডেস্ক:

একতরফা নির্বাচনের নামে দেশে চরম তামাশা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার রাজধানীর উত্তরায় একটি মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ‘অবৈধ সরকারের গৃহপালিত নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী প্রার্থী বাছাই করে দিচ্ছে। কোন আসনে কে নির্বাচন করবে, তাও ঠিক করে দিচ্ছে কমিশন। সেখানে যাকে রাখার দরকার, তাকে রেখে বাকিদের মনোনয়ন বাতিল করছে। বিএনপির নবম দফায় ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনে আজ সোমবার সকাল ৭টায় রাজধানীর উত্তরায় ওই মিছিলের আয়োজন করে মহিলা দল। রিজভীর নেতৃত্বে মিছিলটি উত্তরায় ৪ নম্বর সেক্টর পার্কের কাছে থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-গাজীপুর প্রধান সড়কে গিয়ে শেষ হয়। বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতির সঙ্গে এ রকম প্রহসনের খেলা বন্ধ করুন। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। তা নাহলে জনগণ আপনাদের ছাড়বে না।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৪ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

ইন্দোনেশিয়ায় অগ্নুৎপাতে নিহত-১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মেরাপিতে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই হাইকার। হাইকাররা মূলত পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করে থাকেন। ৩ ডিসেম্বর রবিবার আগ্নেয়গিরিটিতে অগ্নুৎপাত হয়। পরে নিহত এসব হাইকারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  ৪ ডিসেম্বর সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহান্তে ইন্দোনেশিয়ার মেরাপি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের পরে ১১ জন হাইকারকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন।সোমবার আরও তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে ছোট অগ্নুৎপাতের কারণে নিখোঁজ আরও ১২ জনের সন্ধানে চলমান উদ্ধার অভিযান স্থগিত আছে। বিবিসি বলছে, অগ্ন্যুৎপাতের সময় ওই এলাকায় ৭৫ জন পর্বতারোহী ছিলেন। তবে তাদের বেশিরভাগকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। মাউন্ট মেরাপি ইন্দোনেশিয়ার সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে একটি এবং রবিবার সেখানে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ৩ কিমি দূরের এলাকা পর্যন্ত ছাই ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে এবং বাসিন্দাদের গর্তের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে যেতে নিষেধ করেছে। পাদাং সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান বলেছেন, বেঁচে থাকা তিনজনকে গর্তের কাছে পাওয়া গেছে এবং তারা ‘দুর্বল এবং শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে’। সোমবারের শুরুতে ৪৯ জন পর্বতারোহীকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, যাদের মধ্যে অনেকেই দগ্ধ হয়েছেন। রবিবারের অগ্ন্যুৎপাতের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের বিশাল মেঘ আকাশজুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে ও বহু রাস্তা ছাইয়ের স্তরে ঢেকে গেছে। ২ হাজার ৮৯১ মিটার (৯ হাজার ৪৮৫ ফুট) উচ্চতার মাউন্ট মেরাপি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে পশ্চিমে অবস্থিত সুমাত্রা দ্বীপে অবস্থিত। ইন্দোনেশিয়ার ইয়োগাকার্তার প্রদেশের রাজধানী ইয়োগাকার্তা থেকে মাত্র ২৮ কিলোমিটার উত্তরে মাউন্ট মেরাপি আগ্নেয়গিরির অবস্থান। আশপাশের গ্রামের ঝুঁকির বিষয়ে পর্যালোচনার পর সেখানকার কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে মেরাপির সাত কিলোমিটার এলাকাকে সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করে। চলতি বছরের মে মাসে মাউন্ট মেরাপিতে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। সেসময় আগ্নেয়গিরিটির গর্ত থেকে উত্তপ্ত লাভা দুই কিলোমিটারেরও বেশি দূরের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। গত ২০১০ সালে মেরাপি আগ্নেয়গিরির শেষ বৃহত্তম অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ৩০০ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। ওই সময় দেশটির কর্তৃপক্ষ মেরাপির আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। তবে মেরাপি আগ্নেয়গিরিতে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটে ১৯৩০ সালে। ওই বছর মেরাপির অগ্নুৎপাতে কমপক্ষে ১ হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছিলেন। এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটির বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে নিয়মিতই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত এবং সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে থাকে। মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা দেখা যায়।

আলোকিত প্রতিদিন/০৪ ডিসেম্বর ২৩/মওম

গাজীপুরে যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে আগুন

আলোকিত ডেস্ক:

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের জিরানী বাজার এলাকায় একটি যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সকাল ৯ টার দিকে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে ঠিকানা পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে বাসটি জিরানী বাজার এলাকায় পৌঁছলে বাসের ভেতরের পেছন দিকের সিট থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। এসময় চালক বাসটি থামালে যাত্রীরা নেমে যায়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভায়। আগুনে বাসের ভেতরের বেশ কয়েকটি সিট পুড়ে গেছে। গাজীপুরের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যারা বাসে আগুন দিয়েছে তাদের আটক করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৪ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম

আলোকিত ডেস্ক:

দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১২.৭০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮১.৫০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৪ ডিসেম্বর সোমবার ভোরে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (তেরো) এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম গত  ৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৫৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪১০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪২০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর এবং ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।চলতি বছর এখন পর্যন্ত তিনটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে বাংলাদেশে। গত ১৪ মে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। গত ২৪ অক্টোবর রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। এরপর ১৭ নভেম্বর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টির মিয়ানমারের দেওয়া নাম ‘মিগজাউম’।

আলোকিত প্রতিদিন/০৪ ডিসেম্বর ২৩/মওম

এমপি প্রার্থী মাহবুব আলীর সাথে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাক্ষাৎ

ত্রিপুরারী দেবনাথ তিপু:
হবিগঞ্জ -৪ মাধবপুর চুনারুঘাট আসনের এমপি প্রার্থী ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড মাহবুব আলী এমপি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। রবিবার ৩ ডিসেম্বর বিকেলে মাধবপুর বাজারে তিনি বিভিন্ন শ্রেণি পেশাসহ ব্যাবসায়িদের সাক্ষাৎ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের  সাংগঠনিক সম্পাদক বেনু মাধব রায়, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো: এরশাদ আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম দাশ গুপ্ত, আন্দিউড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল আলম টিটু , স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সুজন রায়, পৌর যুবলীগ নেতা মো: নাহিদ মিয়া, উপজেলা ছাত্র লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো: রেজাউল হক শাওন সহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আলোকিত প্রতিদিন/০৩ ডিসেম্বর ২৩/মওম

উচ্চ শব্দে হাসপাতালে রোগীর ত্রাহি অবস্থা

আলোকিত ডেস্ক:

২০০৬ সালের শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা অনুযায়ী, কোথাও কোনো হাসপাতাল থাকলে সেটি ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত হবে। আর ‘নীরব এলাকায় চলাচলকালে যানবাহনে কোনো প্রকার হর্ন বাজানো যাবে না’। রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে রাস্তার দু’পাশে দুটি দেশখ্যাত হাসপাতাল। একপাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। অপর পাশে বারডেম জেনারেল হাসপাতাল। দেশের এই বড় দুই হাসপাতালে শত শত রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নেন। মুমূর্ষু রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। কিন্তু নানা রকম যানবাহনের মুহুর্মুহু হর্নের আওয়াজে রোগীদের ত্রাহি অবস্থা হয়। কিন্তু কোনো ভ্রুক্ষেপ ছাড়াই গাড়ির তীব্র হর্ন এখানে প্রতিনিয়ত বেজেই যাচ্ছে। তাই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে এখানকার রোগীরা। বলা হয় জীবনভর শব্দের সঙ্গেই মানুষের বসবাস। মৃদু, কোমল, জোরালো আর কানফাটা, উচ্চণ্ড—কতো রকম শব্দ যে আমাদের জীবন ঘিরে রয়েছে! কিন্তু শ্রবণযন্ত্র বা কানের জন্য শব্দের সহনীয় মাত্রা আছে। সহনীয়তার মাত্রা ছাড়ালেই সে শব্দ হয়ে ওঠে পীড়াদায়ক। তখন তাকে বলা হয় শব্দদূষণ। শব্দের এই দূষণ মারাত্মক ক্ষতিকর। কেননা এ দূষণের ফলে প্রতিক্রিয়াটি সরাসরি মস্তিষ্কের উপর পড়ে। স্নায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ক্রমাগত শব্দদূষণের প্রভাবে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয় বলে তা স্বাভাবিক জীবনধারায় ব্যাঘাত ঘটায়। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা, ইউনিসেফ এবং বিশ্বব্যাংক পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রায় ৩০টি কঠিন রোগের উৎস ১২ রকমের পরিবেশ দূষণ। এদের অন্যতম হচ্ছে শব্দদূষণ। স্বাভাবিক মানুষের শব্দের সহনীয় মাত্রা হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ ডেসিবল। কিন্তু রাজধানী ঢাকায় যানবাহনের উচ্চ শব্দ ও হাইড্রোলিক হর্নের শব্দের মাত্রা ১২০ থেকে ১৮০ ডেসিবল পর্যন্ত হয়ে থাকে। স্বাভাবিক মানুষজন এ মাত্রার শব্দ সহ্য করতে পারলেও রোগীদের পক্ষে তা একেবারেই অসম্ভব। রাজধানীর বেশিরভাগ হাসপাতাল এই দূষণের আওতার মধ্যে। অথচ এগুলোর ব্যাপারে নেই কোনো  নজরদারির ব্যবস্থা। রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেল শব্দদূষণের নাজুক পরিস্থিতি। বারডেম হাসপাতালে যেন ভোগান্তির পরিমাণটা একটু বেশি। বারডেমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে ভর্তি আছেন নিহারিকা চৌধুরী। তার ভাষ্যমতে, আইসিইউতে যতদিন ছিলাম, ভালো ছিলাম। এখন ওয়ার্ডে আসার পর থেকে নিজেকে অনেক বেশি অসুস্থ মনে হয় শুধু বাইরের বিরক্তিকর প্রচণ্ড শব্দের কারণে। এই উচ্চণ্ড শব্দ খুব কানে লাগে ঘুমানো যায় না। রাত ১১টার পর একটু শান্তি পাই। তাও মাঝে মাঝে হঠাৎই মাঝরাতেও দুই একটা বিকট হর্নের শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।  এ রকম অভিযোগ হাসপাতালটির বেশিরভাগ রোগীর। অনেক সময় কানে তুলা গুঁজে রেখে দিন কাটান রোগীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি রোগীদের অনেকে জানান একই কথা। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, রোগী ও স্বজনদের ছোটাছুটি চলছে। গাজীপুর থেকে আসা রোগী মো. সাইফুল কাতর মুখে বললেন, ‘হৃদরোগের চিকিৎসা নিতে এসে মাথায় যন্ত্রণা নিয়ে ফিরছি। গাড়ির হর্নের শব্দ যেন মগজে ঢুকে আছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য সাময়িকী দ্য ল্যানসেট বলছে, উচ্চমাত্রার শব্দ মানুষের শ্রবণশক্তি ও স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। কানে শোনার ক্ষমতা কমে যায়, ঘুম কম হয়, বিরক্তির মাত্রা বেড়ে যায়। শব্দের কারণে শিশুদের শেখার ক্ষমতা কমে যায়। হৃরোগের, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদিও হয় দীর্ঘ মেয়াদে। ‘স্বাস্থ্যে শব্দের প্রভাব’ শীর্ষক ওই প্রবন্ধে বলা হয়, আচমকা শব্দে (ইমপালস সাউন্ড) ও দীর্ঘ মেয়াদে উচ্চ শব্দের (৭৫ থেকে ৮৫ ডেসিবেল) মধ্যে থাকলে মানুষ শ্রবণক্ষমতা হারাতে পারে। কারণ, এতে কানের কোষ (সেল) মারা যায়। কানের কোষ মারা গেলে তা মনোযোগের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এই কোষ নতুন করে আর তৈরি হয় না।  শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে যে আইন ও বিধি রয়েছে, তা নিয়ে দু-এক বছর পরপর প্রচারণা চলে। কিন্তু কয়েক দিন চলার পর সব ঝিমিয়ে পড়ে। বিধি অনুযায়ী, নীরব এলাকায় হর্ন বাজালে প্রথমে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। আবার নিয়ম ভাঙলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা জরিমানা করা হবে। কিন্তু এর প্রয়োগ হয় না বললেই চলে।   পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের ২০১৬ সালের জরিপে আটটি বিভাগীয় শহরের ২০৬টি স্থানের শব্দ পরিমাপ করে। এই স্থানগুলোতে ১৩০ ডেসিবেল পর্যন্ত আকস্মিক শব্দের মাত্রা রেকর্ড করা হয়। কোনো কোনো স্থানে মাত্র ১০ মিনিটে ৯০০ বারের অধিক হর্ন বাজতে দেখা যায়। অতিরিক্ত হর্ন বাজানো এসব স্থানে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরও যানবাহনে বিকট আওয়াজ সৃষ্টিকারী হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার অব্যাহত আছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আরেকটি আদেশ এসেছে উচ্চ আদালত থেকে। দূরপাল্লার বাস-ট্রাক শহরের ভেতর দিয়ে চলাচলের সময় হর্নে কান পাতা দায়। রাস্তায় নামলে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল আর নানা পদের যানবাহনের শব্দে দিশাহারা লাগে বলে অনেকে জানান।  পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) এক জরিপ বলছে, দিনের বেলায় নীরব এলাকা ইডেন কলেজের সামনে ১০৪ ডেসিবেল, মিশ্র এলাকা পল্টনে ১০৫ ডেসিবেল, কলাবাগানে ১০৬ ডেসিবেল, এয়ারপোর্টের সামনে ১০৮ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ ধারণ করা হয়েছে। নগরীর আবাসিক এলাকাগুলোতে রাতের বেলায় শব্দের মাত্রা ৬৮ ডেসিবেল থেকে ৮৩ ডেসিবেল পর্যন্ত ওঠা-নামা করে। শব্দদূষণের জন্য দায়ী কে: এই উচ্চ শব্দের জন্য দায়ী কে? দেশের প্রধান শহরগুলোতে শব্দদূষণের জন্য যানবাহনের হর্নকেই দায়ী করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের করা এক গবেষণা। গবেষণায় বলা হয়, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরবাইকের হর্ন এই উচ্চমাত্রার শব্দের প্রধান উৎস। এই বাহনগুলো অপ্রয়োজনে ও অহেতুক হর্ন বাজায়।  বাংলামোটর মোড়ে ২২ নভেম্বর বেলা দেড়টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাফিক সিগন্যালে যানবাহনের লম্বা জট ছাড়তেই একসঙ্গে তীব্র হলো হর্নের আওয়াজ। চোখের দেখায় ৪৮টি বাস-মিনিবাস ও মোটরবাইক হর্ন বাজাতে বাজাতেই মোড় পার হলো।  মোড়ের অটো পার্টসের দোকানি সাইফুল ইসলাম বিরক্তি নিয়ে গালে হাত দিয়ে বসে ছিলেন। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তিনি দোকানে বসেন। বললেন, ‘মানুষরে বললেও শোনে না। দেখতেছে সিগন্যাল, তা-ও হর্ন বাজায়। হর্ন বাজানো মানুষের একটি বদভ্যাস হয়ে গেছে। ল্যানসেট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৩ ডেসিবেল শব্দে মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। শব্দের কারণে অনিয়মিত ঘুমে মানুষের বিরক্তিসহ দীর্ঘ মেয়াদে শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। হাসপাতালগুলোতে শব্দ সংবেদনশীল পরিবেশের কথা থাকলেও বেশির ভাগ হাসপাতালে তা থাকে না। হাসপাতালের রোগী ও কর্মীদের ওপর দিনকে দিন শব্দের বাজে প্রভাবের মাত্রা বাড়ছে। তাতে রোগী সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগছে। হাসপাতালে রোগীকে ঘুমানোর জন্য বেশি মাত্রায় ঘুমের ওষুধ বা ডোজ দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। উচ্চ আওয়াজের ক্ষতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নাক, কান ও গলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তরফদার বলেন, ‘কেউ যদি ক্রমাগত সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় শব্দ শুনতে থাকে, তাহলে একপর্যায়ে আংশিক; পরে স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি লোপ পেতে পারে। এমনকি প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে হেডফোনে গান শুনলে পাঁচ বছরের মধ্যেই শ্রবণক্ষমতা কমতে থাকবে। তাহলে রাস্তার উচ্চ শব্দে কী ক্ষতি হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পরিচালক ব্রিগে. জেনা. মো, আবদুল্লাহ আল হারুণ বলেন, হার্টের রোগী ও অপারেশনের রোগীদের সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি হয়। স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষদের চেয়ে রোগীরা অস্বস্তিকর অবস্থায় থাকেন সবসময়। তাই শব্দদূষণ তাদের একেবারেই সহ্য হয় না। আমরা হর্ন বাজানো যাবে না এমন চিহ্ন রাস্তায় লাগিয়েছি। আরও লাগাবো। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না। এ বিষয়ে সরকারকে অবহিত করেছি। আশা করি খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  এদিকে দেশের নামিদামি হাসপাতালগুলোতে এই ভোগান্তির পরিমাণ কিছুটা কম হলেও একেবারে যে নেই তা বলে বলা যায় না। স্কয়ার, ল্যাবএইড, আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কক্ষগুলো বাতাসরোধী ও শীতাতাপ হবার কারণে শব্দ কিছুটা কম প্রবেশ করে। তবে অন্যসব হাসপাতারের ক্ষেত্রে ভোগান্তি একেবারে শীর্ষে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় আবার ভিন্ন পরিস্থিতি। এখানে শুধু বাইরের শব্দদূষণ নয়, হাসপাতালের ভেতরেও শব্দদূষণের মাত্রাও ব্যাপক। দর্শনার্থীসহ বিভিন্ন রকম মানুষের যাতায়াতে মুখরিত এ হাসপাতালে সবার মুখের কথার কারণেই সৃষ্টি হচ্ছে শব্দদূষণ। এছাড়া হাসপাতালের গেটের ভিতরেও ঢুকে হর্ন বাজায় হাসপাতালে আগত অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য গাড়ি। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ডাক্তার মো. আবিদ বলেন, প্রচণ্ড গোলমেলে শব্দের কারণে প্রায়ই দেখা যায় রোগীরা ঘুম থেকে আৎকে জেগে ওঠেন। রাস্তার শব্দ অনেক সময় রোধ করা যায় রুমকে বায়ুরোধক করার মাধ্যমে। আইসিইউতে যেমন আছে। হাসপাতালের ভিতরের মানুষের সংখ্যা কমাতে না পারলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা মাঝেমাঝে হার্টের রোগে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে ব্যাপক চিন্তিত হয়ে পড়ি এই শব্দ দূষণের কারণেই। ওষুধ দিয়েও কাজ হয় না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘শব্দদূষণ যারা করছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর চেয়ে এই আইন ও বিধিগুলো সম্পর্কে মানুষকে জানানোটা অনেক বেশি জরুরি। আমরা এ বিষয়ে খুব দ্রুত প্রচারণা শুরু করব। কোন এলাকায় কেমন শব্দ হওয়া উচিত, কেমন হচ্ছে হাসপাতাল, আবাসিক, বাণিজ্যিক, মিশ্র ও শিল্প এলাকা-নগরীর কোনো এলাকাকে কি নীরব এলাকা বলা যায়? শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালায় এই এলাকাগুলোর শব্দের সহনীয় মানমাত্রা দিনের বেলায় সর্বনিম্ন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ ডেসিবেল নির্ধারণ করা হয়েছে। রাতের বেলায় তা আরও ৫ একক কম।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৩ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

গাইবান্ধায় ৪৫ বোতল মাদকসহ গ্রেফতার-১

রানা ইস্কান্দার রহমান:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ৪৫ বোতল মাদকসহ কারবারি ওমর ফারুক (৪০) র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার। ওমর ফারুক উপজেলার পলাশবাড়ী গ্রামের আমজাদ হোসেনের পুত্র। গত ১ডিসেম্বর শুক্রবার গাইবান্ধা র‍্যাব ১৩ এর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‍্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যাপক মাত্রায় অভিযান চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় র‍্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পলাশবাড়ী উপজেলার বাঁশকাটা নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ওমর ফারুক (৪০)কে গ্রেতারসহ ৪৫ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী ওমর ফারুক সুকৌশলে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল। উল্লেখ্য যে, তাহার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রহিয়াছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গোপন অনুসন্ধান চলছে। ধৃত আসামীকে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/০৩ ডিসেম্বর ২৩/মওম

টাঙ্গাইলে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

সবুজ সরকার:
ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতি করার অভিযোগে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। ৩ নভেম্বর রবিবার সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম সদর আসনের মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। জানা যায়, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র  প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবীব মনোনয়নপত্রে নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিয়েছেন। জমা দেওয়া ভোটারের স্বাক্ষরের মধ্যে ১০ টি যাচাই-বাছাই করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ছয় জনের স্বাক্ষর মিল পাওয়া যায়নি। এছাড়াও একজন মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর দিয়েছেন। অন্যদিকে, মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেনিগার হোসেন মনোনয়নপত্রে নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিয়েছেন। জমা দেওয়া ভোটারের স্বাক্ষরের মধ্যে ১০টি যাচাই-বাছাই করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে একজনেরও স্বাক্ষর মিল পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, খন্দকার আহসান হাবিব ও মেহেনিগার হোসেনের জমা দেওয়া স্বাক্ষরগুলোর মধ্যে ১০ ভোটারের স্বাক্ষর ও তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। সেখানে ভোটারের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থন যাচাই বিধিমালা ২০১১ এর ৫ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। পরে আইন অনুযায়ী তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবিব জানান, এ বিষয়ে তিনি আপিল করবেন।
আলোকিত প্রতিদিন/০৩ ডিসেম্বর ২৩/মওম

জনশক্তি রফতানিতে রেকর্ড বাংলাদেশের

আলোকিত ডেস্ক:

জনশক্তি রপ্তানিতে বড় এক মাইলফলক অর্জন করেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত দেশটি যে পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি করেছে তা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১২ লাখ চার হাজার কর্মী বিদেশে গেছে। গত বছর এ সংখ্যাটি ছিল ১১ লাখ ৩৫ হাজার। এ বছর শ্রম অভিবাসনের একটি ইতিবাচক দিক হলো মধ্যপ্রাচ্যের প্রচলিত বাজারগুলোর পরিবর্তে ইতালি এবং যুক্তরাজ্যের মতো অপ্রচলিত গন্তব্যে রেকর্ডসংখ্যক কর্মী পাঠানো। যদিও এক্ষেত্রে উদ্বেগ রয়েই গেছে। কারণ অসংখ্য কর্মী প্রধানত ওমান, সৌদি আরব এবং মালয়েশিয়ায় ভুয়া চাকরির প্রলোভনে পড়ে সঠিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হলো- বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি সত্ত্বেও সেই হারে প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) প্রবাহ বাড়েনি। গত দুই অর্থবছর ধরে রেমিট্যান্স মাত্র ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচেই স্থবির হয়ে আছে। অভিবাসন বিশেষজ্ঞ এবং ব্যাংকাররা এই অসমতার জন্য তিনটি প্রাথমিক কারণকে দায়ী করেছেন। এগুলো হলো- স্বল্প-দক্ষ পেশার ব্যাপকতা, অর্থ স্থানান্তরের জন্য অবৈধ চ্যানেলের ব্যবহার (হুন্ডি) এবং আর্থিক লাভের জন্য বিদেশি নিয়োগদাতার ভুয়া চাকরির প্রস্তাব এনে অদক্ষ শ্রমিকদের কাছ থেকে দেশের কিছু রিক্রুটারের অর্থ নেওয়ার ঘটনা। বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো- চার বছর বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পুনরায় খুলে দেওয়া। দেশটি উৎপাদন, নির্মাণ, পরিষেবা, কৃষি, খনি ও গৃহস্থালীসহ বিভিন্ন খাতে এ বছর তিন লাখ ২৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে সৌদি আরবের পরেই এখন মালয়েশিয়ার অবস্থান। উল্লেখ্য, বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব। এছাড়াও সৌদি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিক বা কর্মীদের জন্য কোটা ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ নির্ধারণ করাও গত দুই বছর ধরে বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এ বছর বিশেষ করে কৃষি, আতিথেয়তা এবং উৎপাদন খাতে ১৬ হাজার ২৯৭ জন বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে ইতালি। একক বছরের হিসাবে এটিই সর্বোচ্চ। যুক্তরাজ্য সেবা, গৃহকর্মী ও আতিথেয়তা খাতে রেকর্ড ৯ হাজার ৪২৭ জন নিয়োগ দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরও এ বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছে। নিয়োগকারীরা এ কথা স্বীকার করেন যে কভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বিদেশে যেতে না পারা শ্রমিকরা পরবর্তী বছরগুলোতে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। জনশক্তি রপ্তানি খাতের এই সাফল্যের পেছনে ভুয়া চাকরির প্রলোভনের অভিযোগও নেহাত কম নয়।রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (আরএমএমআরইউ) একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, করোনা পরবর্তীকালে বিদেশে গিয়েছিলেন, কিন্তু চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন শর্তাবলী পূরণ না করায় এক থেকে ১৬ মাসের মধ্যে ৩৫ শতাংশেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন।শ্রম বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রিক্রুটিং এজেন্সি ও বিদেশি নিয়োগদাতারা অনেক কর্মীকে মধ্যপ্রাচ্যে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে থাকে। যে কারণে এখন অন্য দেশগুলোতে অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। খাত সংশ্লিষ্ট অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ওমানের সম্প্রতি নতুন ভিসা স্থগিতাদেশে উদ্বেগ বেড়েছে। কর্মীরা চাকরি হারাচ্ছে, মধ্যস্থতাকারীর দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে এবং কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাচ্ছে না বলে শোনা যাচ্ছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৩ ডিসেম্বর ২৩/ এসবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ জনের মনোনয়ন বাতিল

মোঃ নিশাদুল ইসলাম:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি  আসনের মনোনয়নপত্র আজ যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ে ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জন প্রার্থীর  মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষনা করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। গতকাল রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে এ বাছাই কার্যক্রম চলে। এতে বিভিন্ন দলের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত সকল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করা হয়। তবে বাতিল হয়েছে আওয়ামীলীগের ৬ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ৪ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য বহিস্কৃত বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. টি. এম মনিরুজ্জামান সরকার ও রোমা আক্তার, ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ বকুল হুসেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও , স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জহিরুল হক চৌধুরি, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ কাজী জাহাঙ্গীর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেস এর মনোনীত প্রার্থী বজলুর রহমান মিলন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মোস্তাক এবং আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ভুইয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সফিকুল ইসলাম। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে দাখিল করা সকল মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী  ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, বাছাইয়ের সময় আমাকে জানানো হয়েছে একজন ভোটার স্বাক্ষরের কথা অস্বীকার করছেন। তবে আমাকে কথা বলার কোন সুযোগ দেয়া হয়নি। জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা মোঃ শাহগীর আলম জানান, যাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা নির্বাচন কমিশনে ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৩ ডিসেম্বর ২৩/মওম